রেড নিউজ ২৪.কম
ঢাকা : রাজধানী ঢাকার পাবলিক পরিবহন। এ যেন চরম দুর্ভোগের অপর নাম। অফিসে যেতে ও বাসায় ফিরতে, কিছু সংখ্যক যাত্রী গাড়ির ভিতরে বসে বা দাড়িয়ে যেতে পারলেও, অনেককেই যেতে হয় গাড়ির বাইরে দাড়িয়ে। এসব গাড়ির বেশীরভাগ চালকই অপ্রাপ্ত বয়স্ক।
আর ছোট্ট শিশুদের দিয়েই করানো হচ্ছে হেলপারির মত কঠিন কাজটি। এদিকে বিআরটিএ চেয়ারম্যানের দাবী, মূলত অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালক ও শিশু হেলপার বন্ধে উদ্যোগ নিতে হবে ডিএমপি ও শ্রম মন্ত্রণালয়কেই।
অধীর অপেক্ষা কখন আসবে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য কাঙ্ক্ষিত বাহন। অপেক্ষার প্রহর শেষে বাস বা লেগুনা আসামাত্র শুরু হয় হুড়োহুড়ি। কে কার আগে উঠে সিট দখল করতে পারে, তারই যেন প্রতিযোগিতা।
প্রতিদিন এমনিভাবেই শত শত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লেগুনায় ঝুলে যাচ্ছেন নিজ নিজ গন্তব্যস্থলে। তবে চালক ও হেলপারদের দাবি তাদের কথা অমান্য করেই যাত্রীরা উঠছেন লেগুনার পিছনে।
বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এই অদ্ভুত গণবহনের নেই ফিটনেস। যেখানে নাবালক হেলপার ও অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের দিয়ে ছোট আকৃতির এ গাড়িগুলো ছুটছে রাজধানীর রাস্তা দিয়ে। যাদের কারোরই নেই গাড়ি চালানোর লাইসেন্সও।
একজন লেগুনা চালক বলেন, ‘আমাদের ভুয়া লাইসেন্স আছে কিন্তু পুলিশে ধরলে টাকা-পয়সা দিলে ঝামেলা না করেই ছেড়ে দেয়।’ আরেক চালক বলেন, ‘সার্জেন্ট ধরলে দুইশ’ টাকা দিলেই ছেড়ে দেয়।
তবে মাসোয়ারা নেয়ার কথা সরাসরি অস্বীকার করেছেন দায়িত্বরত সার্জেন্টরা।
দায়িত্বরত সার্জেন্টরা বলেন, ‘এইসব যানবাহনের বিরুদ্ধে আমরা মামলা দিচ্ছি। যদি টাকা নেয়া হতো তাহলে এগুলো করার প্রয়োজন হতো না। টাকা নেয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এদিকে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ধরতে অভিযান চললেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না লাইসেন্সবিহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের বিরুদ্ধে।