নিউজ ডেস্ক : জাতীয় বেতন কাঠামোর (পে-স্কেল) গেজেট অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে গেছে। যেকোনো সময় প্রকাশ হতে পারে এই গেজেট। ৬ডিসেম্বর (রোববার) অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে ভেটিংয়ের জন্য সম্প্রতি এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আইন মন্ত্রণালয় তা পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে এটি আবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠায়। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এবার তা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এ মাসে যদি গেজেট প্রকাশ হয় তাহলে আগামী মাস থেকেই নতুন বেতন কাঠামোতে ‘বর্ধিত বেতন’ পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। তবে যখনই এটা চালু হোক না কেন, কার্যকর হবে গত জুলাই মাস থেকেই।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পে কমিশনের মূল প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেয়া হয়। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন পে স্কেল অনুমোদন দেয়া হয়। ওই দিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১ জুলাই থেকেই নতুন বেতন কাঠামো কার্যকরের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে তা বাস্তবায়নের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এতে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে। মন্ত্রিসভার সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হচ্ছে।
নতুন বেতন কাঠামোতে মাসিক ‘মূল বেতন’ সর্বোচ্চ ৭৮,০০০ টাকা আর সর্বনিম্ন ৮,২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখন শুধু ‘মূল বেতন’ বাড়বে। ভাতা বাড়বে আগামী বছরের জুলাই থেকে।
সরকারি চাকরিজীবীরা এখন চিকিৎসা ভাতা পান ৭০০ টাকা। নতুন স্কেলে এই ভাতা বাড়িয়ে ১৫০০ টাকা করা হয়েছে। যাতায়াত ভাতা ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। শিক্ষা ভাতা ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা করা হয়েছে।
বর্তমানে কোনো সরকারি চাকরিজীবী পিআরএলে (অবসর-পূর্ব ছুটি) গেলে একসঙ্গে ১২ মাসের সমপরিমাণ মূল বেতন পান। নতুন স্কেলে ১৮ মাসের সমপরিমাণ ‘মূল বেতন’ পাবেন। খসড়া প্রজ্ঞাপনে এসব বিষয়ে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া নববর্ষে বৈশাখী ভাতার কথাও উল্লেখ থাকছে প্রজ্ঞাপনে।