গোলাম কবির : আমের রাজধানী ভোলাহাটে আম বাজার সুরক্ষা, চুরি রোধ ও উৎপাদনসহ নানা বিষয় নিয়ে গড়ে উঠা প্রতিষ্ঠান “আম ফাউন্ডেশন” এর কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন ২৮ এপ্রিল।
নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার আশরাফুল হক। মনোনয়ন জমা, বাছাই ও সর্ব শেষ ১৫ এপ্রিল (রোববার) প্রতীক বরাদ্ধ শেষ হয়। প্রতীক পেয়ে বিভিন্ন পদের প্রার্থীরা পোষ্টার লিপলেট তৈরী করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনায় ছুটছেন। বাদ পড়ছে না রাস্তা-ঘাট, দোকান পাটে গিয়ে ভোট প্রার্থনায়। সব জায়গাতে নিজেকে বিজয়ী করতে ভোটাদের ধরে ভোট ভিক্ষায় ব্যস্থ প্রার্থীরা। আম ফাউন্ডেশন ভোলাহাট ২০০১ সালে স্থাপিত হয়। এবার প্রায় মোট ৪হাজার ১জন ভোটার রয়েছে। কার্যনির্বাহীর মোট ২৩জন সরাসরি নির্বাচনে লড়বেন বিভিন্ন পদের বিপরিতে। বাঁকী ৮জন সভাপতিসহ পদাধীকার বলে বিনা নির্বাচনে থাকবে র্নিদিষ্ট পদে বহাল। এ কার্যনির্বাহী কমিটিতে মোট ৩১টি পদ রয়েছে। সোমবার কোষাধ্যক্ষ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী লাল দেওয়ান টিউবওয়েল প্রতিক নিয়ে লড়ছেন। নিজেকে যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সোমবার ছুটেছেন ঘাটে মাঠে চায়ের দোকানে দোকানে ভোট প্রার্থনায়। লাল দেওয়ান বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে আম ফাউন্ডেশনের উন্নয়নে সর্বত্তক ভাবে কাজ করে যাবেন। সাধার আম ব্যবসায়ী ও আমবাগান মালিকদের সমস্যা সমাধানে সর্বাবিক সহযোগিতা করবেন বলে জানান। তাকে বিজয়ী করতে আম ফাউন্ডেশনের সকল ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন। তাকে বিজয়ী করতে ভোটারদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। অপরদিকে সফল সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক চুটু তাকে বিজয়ী করতে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন। তিনি আম ফাউন্ডেশনের জন্ম লগ্ন থেকে সফল ভাবে সাধারণ সম্পাদকের পদে থেকে নিরালস কাজ করে গেছেন বলে তিনি জানান। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদকের পদে লড়ছেন আ’লীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য পিয়ার জাহান, জামায়াতের নেতা গোলাম কবির গোলাপ। এ’ছাড়া অন্যান্য পদে লড়াই করছেন অনেকেই। এদিকে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আশরাফুল হ জানান, এ ভোট অরাজনৈতিক ভোট। আচারণ বিধি মেনে সকল প্রার্থীকে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন।